ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মুক্তমত

বিশেষ লেখা

আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর

মোস্তফা কামাল, সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:২৯, অক্টোবর ২৩, ২০২৫
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর মোস্তফা কামাল

একের পর এক গুজব রটতেই থাকবে? গুঞ্জন ছড়তেই থাকবে? তা আর কাঁহাতক? টানা দু-তিন দিনের গুজব-উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় হেফাজতে থাকা সাবেক ও বর্তমান ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে  গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। ভোরের ঘোর কাটিয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানে তাঁদের আদালতে আনা হয়।

বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।

তাঁরা হলেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতকে তাঁদের বিষয়ে নতুন করে কোনো রুলিং দিতে হয়নি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিতে হয়নি। বলা হয়েছিল, বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা তাঁদের হাজির না করলে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি হচ্ছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। আসামিদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতাও দৃশ্যমান হলো। সেনাবাহিনীর দিক থেকে বিচারকাজে সহায়তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে গুজবের বাজারে আবারও মন্দা। কিছুদিন ধরে কী গুজবকাণ্ডই না ঘটেছে। সঙ্গে নানা অবান্তর কথামালা। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ভর করলেও গুমে জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এর নতুন করে হিড়িক পড়ে। সেনাবাহিনী বিচার করতে দিতে চায় না—এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বা আদালতের সঙ্গে সেনাবাহিনীর চরম বিরোধ চলছে, যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে, ভেতরে অবস্থা বড় গরম ইত্যাদি গুজবে দেশ গরম করে তোলা হয়।

গুজবের জবাব গুজবে হয় না। সেনাবাহিনী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ’। গুমের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনাও প্রকাশ করেছে। ট্রাইব্যুনাল আইন ও সেনা আইনকে মুখোমুখিও করেনি; বরং আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে সহায়তা দিচ্ছে। গুমসংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত জাতীয় কমিশনকে সেনাবাহিনী শুরু থেকেই সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যসংগ্রহে সহযোগিতা করেছে। নথি সরবরাহও করেছে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পর অভিযুক্তদের পরিবার থেকে আলাদা করে সেনা হেফাজতে এনে সেনাবাহিনী এ বিচারে সহায়তা করছে। অথচ বিচার বা রায়ের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল, পাবলিক ট্রায়াল সব করে ফেলা হচ্ছে। ব্যক্তির অপরাধে গোটা বাহিনীকেই কাঠগড়ায় নিয়ে আসার কুপ্রবণতা চলেছে হরদম।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। এটি কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। ঘটনাকালে আসামিদের কেউ-ই সেনাবাহিনীর সরাসরি কমান্ডের অধীনে কর্মরত ছিলেন না। ডিজিএফআই বা র‌্যাবে ছিলেন ডেপুটেশন বা প্রেষণে। এ সংস্থাগুলো সেনাবাহিনীর অধীনে নয়। বিশেষ করে ডিজিএফআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। সেনাবাহিনীর কমান্ড কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত নয়। আসামিদের কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের বাইরে। তাদের সম্পর্কে সেনা সদরের পক্ষে অবগত হওয়া বা নজরদারি করার ব্যবস্থাই নেই। আর র‌্যাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ অবস্থায়ও গোটা সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি করার দুষ্টুচেষ্টা হালে পানি পায়নি। এর আপাতত অবসান ঘটেছে। কিন্তু তা আর কত? আলামত বলছে, এরা পিছু ছাড়ছে না, ছাড়বে না। নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি প্রোপাগান্ডাবাজরা আরো তৎপর হবে, সেই আলামত একদম স্পষ্ট। কখনো সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বা সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁর অধস্তনদের কল্পিত বিরোধের কেচ্ছা ও গুজববটিকা ছড়ানোর মেশিনারি ও টুলস বেশ সক্রিয়।

এবারের নির্বাচন একটি মহা ইমানি পরীক্ষা নির্বাচন কমিশনের জন্য। নির্বাচনের মুখ্য দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হলেও তা শুধু তাদের একার নয়। এখানে প্রার্থী, ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ অংশীজন অনেক। ইসি অনেকটা রেফারির মতো। আর আম্পায়ারিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বলতে মানুষ আগে চেনে পুলিশকে। তারপর সশস্ত্রবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার। বাস্তবতা হচ্ছে পুলিশ এখনো ট্রমাগ্রস্ত। গেল সরকারের আমলে নানা ক্রিয়াকর্মে পুলিশ হয়ে যায় জনতার প্রতিপক্ষ। ঘৃণার ওই জায়গা থেকে পুলিশ এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর বিপরীতে সেনাবাহিনী চলে এসেছে আরো ভরসা ও আস্থার জায়গায়। গেল সরকার নির্বাচনকালীন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকেই তাদের খারিজ করে দিয়েছিল। এবার আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২’ সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে আবারও অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী আর প্রয়োগকারীর মধ্যে বেশ ফের আছে। ভোট দেওয়া ভুলে যাওয়া মানুষের বিশ্বাস নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে সুফল মিলবে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিও সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলো বা সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনগুলোতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার ওই সংশোধন অধ্যাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোকে বাদ দেয়। এবার সেখানে আশাবাদের খবর। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে—এ আশা ও নিশ্চয়তা গণতন্ত্রকামী যে কারো জন্যই অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত। তাই নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আন্তর্জাতিক মহলও আশা করে আমাদের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যাশার কথা জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। সর্বশেষ অফিসার অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও আগামী নির্বাচনে সেনাসদস্যদের আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। এমন আশাবাদ ও উচ্চাশা ভণ্ডুল করতে নতুন উদ্যমে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত, বিভ্রান্ত, উত্তেজিত করার ছক করেছে মহলবিশেষ।

প্রশ্নমুক্ত, অবাধ নির্বাচনের দাবি বা আশা তখনই আসে, যখন নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বা নাগরিকসমাজের মধ্যে উদ্বেগ থাকে। বিভিন্ন সময়ে দলগুলো নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা বা ভোট গ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা ‘প্রশ্নহীন’ নির্বাচনের দাবি আরো জোরালো করে। স্বাধীনতার ৫৩-৫৪ বছরে এ দেশে ভোটের বহু মডেল প্রদর্শিত হয়েছে। এখানে গণতন্ত্রের বহু মারপ্যাঁচ। একদলীয়, দ্বিদলীয়, কয়েক দলীয়, বহুদলীয় ইত্যাদি। ভোট আর নির্বাচনেরও এন্তার রকমফের! নামও অনেক। সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ভোটেরও নানা নামচিহ্ন। ভোট ক্যু, মিডিয়া ক্যু, বাক্স লুটের ভোট, হ্যাঁ-না ভোট। সূক্ষ্ম কারচুপি, স্থূল কারচুপিরও নানা কলসাইন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন দেশের প্রথম নির্বাচনে একটি মডেল দেখেছে মানুষ। ব্যালট বাক্স লুট থেকে শুরু করে দলের প্রায় সব প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণার নির্বাচনের ওই মডেল ভোটের জন্য আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর ইমেজে চরম আঘাত হানে। পছন্দের খন্দকার মোশতাককে জয়ী দেখাতে ব্যালট বাক্স কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনে অধিকতর সঠিক ফলাফল দেওয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত। এ সার্কাস শোতে আরো নতুনত্ব আসে জেনারেল এরশাদ জামানায়।

এতে প্রথম ব্যতিক্রম আসে এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। স্বাধীন দেশে প্রথম স্বাধীন নির্বাচনের স্বাদ পায় মানুষ। এর মধ্যেই গণ্ডগোল পাকে তখনকার বিএনপি সরকারের মাগুরা ও মিরপুর উপনির্বাচন মডেলে। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি মডেল। তারপর বিচারপতি হাবিবুর রহমান, লতিফুর রহমান, ফখরুদ্দীনদের তত্ত্বাবধায়ক জামানায় নির্বাচনের মোটামুটি একটি মডেল চলতে থাকে। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে নির্বাচনী নাশকতা। ২০১৮ সালে এসে দিনের ভোট রাতে সেরে ফেলার নতুন মডেল চালু হয়। চব্বিশে আসে ‘ডামি-আমি’। এবারের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা ভিন্ন। আগের সেই ভোটকাণ্ড অবসানের অপেক্ষা মানুষের। এর বিপরীতে নির্বাচন বানচালসহ গোটা দেশে একটি অরাজকতাপ্রত্যাশীমহলও সক্রিয়। কেউ দেশে, কেউ ভিনদেশে বসে এ অপকর্মে যুক্ত হচ্ছে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, গোটা দেশের সর্বনাশও তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শুধু একটি সামরিক সংগঠন নয়, এটি জাতির অস্তিত্ব, মর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। স্বাধীনতার রক্তাক্ত সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া এই বাহিনী আজ দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ, জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্বের পতাকা বহনকারী শক্তি। একদিকে জনগণের সঙ্গে তাদের বিশ্বাসের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে হচ্ছে। আরেকদিকে অভ্যন্তরীণভাবে শৃঙ্খলা ও নৈতিক মূল্যবোধের কঠোর অনুশীলনও চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট, ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।