ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

মুক্তমত

জুলাই ঘোষণাপত্র: আইনি পর্যালোচনা

মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৭, আগস্ট ৬, ২০২৫
জুলাই ঘোষণাপত্র: আইনি পর্যালোচনা জুলাই ঘোষণাপত্র

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ৫ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করেছেন। এটি জুলাই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

ঘোষণাপত্রের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে ভবিষ্যতে সাংবিধানিকভাবে এর স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানের ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। বিগত হাসিনা সরকার কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই অনুচ্ছেদটিও নিজেদের মতো করে সংশোধন করে সংবিধানকে মূলত আওয়ামী লীগের দলীয় দলিলে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

জন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে হলে, হয় ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদকে পঞ্চদশ সংশোধনী পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে অথবা সংবিধানের ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ নতুন করে লিখতে হবে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই ঘোষণাপত্রের কোনো অংশ সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়নি। তাহলে জটিলতা বাড়তো।

আমার ব্যক্তিগত অভিমত, ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে আজকের ঘোষণাপত্রটি চতুর্থ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হলে এর যথাযথ সাংবিধানিক স্বীকৃতি মিলবে। একই সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ও পরবর্তী সরকার গঠন পর্যন্ত তাদের কাজের বৈধতাও এই ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ ও চতুর্থ তফসিলের মাধ্যমে হতে হবে।

পূর্বের ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদটি ছিল নিম্নরূপ

‘ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী: এই সংবিধানের অন্য কোনো বিধান সত্ত্বেও চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী কার্যকর হইবে। ’

লেখক: মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)
ব্যারিস্টার-এট-ল’
সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সর্বশেষ নির্বাচিত সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
এক্সিকিউটিভ কমিটি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।