ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

শিয়ালের জন্য কান্না!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৯, জানুয়ারি ৭, ২০২২
শিয়ালের জন্য কান্না!

লক্ষ্মীপুর: এক বছর ধরে একটি খেঁকশিয়ালকে পালন করেছেন হাসিনা আক্তার। এরই মধ্যে অনেক বড় হয়েছে শিয়ালটি।

তাই শিয়ালের প্রতি আলাদা একটা মায়া তৈরি হয়েছে তার।

তবে তাকে লালন-পালন করা হচ্ছিল খাঁচায় বন্দি করে। বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। ফলে সেটিকে প্রশাসনের সহায়তায় হাসিনার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। এতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা ও তার দুই শিশু সন্তান।

ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামে।

জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান শিয়ালটিকে উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে আসলে শিয়ালের পেছন পেছন ছুটে আসেন বেদে পরিবারের গৃহবধূ হাসিনা ও তার দুই প্রতিবন্ধী শিশু। কান্না করেও সেটিকে আগলে রাখতে পারলেন না তিনি। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের লোকেরা শিয়ালটিকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে ছেড়ে দেন। তবে পরিবারটি অসহায় হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

গৃহবধূ জানায়, খুব ছোট অবস্থায় তিনি এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি শিয়ালের শাবক কিনে পালন করছিলেন। কিন্ত কয়েক দিন পর একটি শাবক মারা যায়। পরে বাকি একটিকে তিনি লালন-পালন করে বড় করেন। তার দুই প্রতিবন্ধী শিশু ওই শিয়ালটির বন্ধু হয়ে ওঠে। কিন্ত হঠাৎ করে তাদের খেলার সাথীকে নিয়ে আসার পর শিশু দুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। শিয়ালটিকে হারিয়ে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইউএনও মো. কামরুজ্জামান শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, বেদে পরিবারের এক গৃহবধূ একটি শিয়ালকে দীর্ঘদিন খাঁচায় বন্দি করে রেখে ছিলেন। যা বন্যপ্রাণী আইনে অবৈধ। আমরা খবর পেয়ে সেটিকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় নির্জন স্থানে অবমুক্ত করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, শিয়ালের জন্য ওই পরিবারের লোকজন খুবই কান্নাকাটি করছিল। ওই নারীর  দুটি প্রতিবন্ধী শিশুও রয়েছে। খুবই অসহায় পরিবার, তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।