ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ফের চলছে বন্য হাতির তাণ্ডব 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৮, নভেম্বর ১০, ২০২০
ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ফের চলছে বন্য হাতির তাণ্ডব 

শেরপুর: শেরপুরের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আবার শুরু হয়েছে বন্য হাতির তাণ্ডব। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে উপজেলার তাওয়াকোচা, গুরুচরনদুধনই, পানবর, ছোটগজনী, বাকাকুড়া, বড়গজনী, গান্দিগাঁও, হাল চাটি, নওকুচি, রাংটিয়া গোমড়া, সন্ধ্যাকুড়া ও গারোকুনা গ্রামের কৃষকদের।

 
 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে এ পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে বন্য হাতির তাণ্ডব। বন্য হাতি দল বেধে এসে পাহাড়ের গভীর অরণ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। আর সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির দল নেমে আসছে লোকালয়ে।   

বন্য হাতীর দল কাঁচা ঘর-বাড়ি, গাছপালা, বাঁশ ঝাড়, কলা ও শাক-সবজির বাগান, ক্ষেতের কাঁচা-পাকা ধান খেয়ে ও পায়ে পিষে একাকার করে চলেছে।  
 
গত দুই যুগ ধরে বন্য হাতির তাণ্ডবে এসব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ক্ষেতের ফসল ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যহাতির কবল থেকে জানমাল ও ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন কৃষকরা। ঢাকঢোল, পটকা ফুটিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সব চেষ্টা বিফল করে বন্য হাতির দল তেড়ে আসছে লোকালয়ে। তাওয়াকোচা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হযরত আলী, নওকুচি গ্রামের গোলাপ হোসেন, আব্দুর রশিদ, হালচাটি গ্রামের সুরেন্দ্র কোচসহ স্থানীয় অনেকে জানান, ক্ষেতের ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে বন্য হাতির তাণ্ডব বাড়ে।  

কাংশা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে প্রায় প্রতিরাতেই হানা দিচ্ছে বন্য হাতির দল। ক্ষেতের পাকা ধান খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। ফলে এলাকার কৃষকদের চোখে এখন ঘুম নেই। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন পাহাড়ি গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। রাত কাটছে হাতি আতঙ্কে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।