ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

জিডিপিতে ১.২ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আনবে পদ্মা সেতু: চীন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫১, অক্টোবর ১৯, ২০২০
জিডিপিতে ১.২ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আনবে পদ্মা সেতু: চীন

ঢাকা: পদ্মা সেতু প্রতি বছর বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রায় ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আসবে বলে মনে করছে চীন। এছাড়া সেতুটি উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহনের দক্ষতার নাটকীয় উন্নতি ঘটাবে।

ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনা দূতাবাস জানায়, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এটি আশপাশের অঞ্চলে উদ্বৃত্ত শ্রমের কর্মসংস্থানের সমস্যাটি অনেকাংশে সমাধান করেছে এবং এর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়ক এবং রেলপথগুলো সংযুক্ত হবে। ফলে একটি নতুন পরিবহন রুট তৈরি হবে, যা উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং পর্যটন সম্পদের বিকাশ ও ব্যবহারে সহায়ক হবে। এছাড়া এটি উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে মানুষ এবং মালপত্র পরিবহনের দক্ষতার নাটকীয় উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের হাজার হাজার বছর ধরে ফেরি পরিবহনের ওপর নির্ভরতার ইতিহাসের ইতি টানবে। প্রাথমিক আনুমানিক হিসেব অনুসারে, এ সেতুটি প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের পদ্মা বহুমুখী সেতুটি রাজধানী ঢাকার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পদ্মা নদী (গঙ্গা) জুড়ে ভারত মহাসাগর থেকে সরল রেখায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। নির্মাণ কাজ শেষে এ সেতুটি মাওয়া ও জাজিরা সংযোগকারী প্রধান যানচলাচলের মহাসড়কে পরিণত হবে। চীনের বিখ্যাত চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চুক্তিবদ্ধ।

প্রকল্পটিতে সেতুটির মূল সেতু, মহাসড়কের কাছের সেতুগুলো এবং রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েকটি সেতুর নির্মাণ কাজ অন্তর্ভুক্ত। এ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭.৭ কিলোমিটার। এটিতে মূলত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পদ্মা নদী জুড়ে মোট ৬,১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মূল সেতু এবং দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ও বিমের মূল সেতু ও উভয় পাশে ৩৬৭৯ মিটার মোট দৈর্ঘ্যের সংযোগ সেতু। প্রকল্পটির নকশা তৈরি করেছে আমেরিকার এইসিওএম কোম্পানি। সেতুটির নকশা ও নির্মাণ কাজে অনেকগুলো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। যেসব বিশ্বের প্রথম এপ্লিকেশনস। যেগুলোর রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্মত প্রয়োজনীয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
টিআর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।