ঢাকা, বুধবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, উদ্ধার অভিযান চলছে পদ্মায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০০, মার্চ ৮, ২০২০
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, উদ্ধার অভিযান চলছে পদ্মায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে।

রাজশাহী:  রোববার (৮ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে।

শুক্রবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নৌকোডুবির ঘটনার পর শনিবার (০৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে ছয়জনের এবং রোববার দুপুরে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এখন পর্যন্ত নববধূসহ দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটি নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে অপরটি উদ্ধার করা হয়েছিল।

নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (২০) ও কনের খালা আঁখি খাতুন (২৫)।

এদিকে, সর্বশেষ ব্যক্তিটিকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম।

তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার রাত থেকে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে সাতজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি দু’জনেরও আর বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাদের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজন্য আমাদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হবে না। ’

রাজশাহীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাসুদ জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। ছয়জনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মরিয়ম খাতুন নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।

রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলের কাছেই জেলেদের জাল ফেলে নববধূর ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রাজশাহীর চারঘাট থেকে মনি বেগম (৩৫) নামে এক নারী, দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এখলাস হোসেন (২২) ও দুপুর আড়াইটার দিকে রতন আলী (৩০) নামের দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পদ্মা নদীতে ঘটনাস্থলের পাশেই এ দু’জনের মরদেহ ভেসে উঠে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে ডুবুরিরা পানির নিচ থেকে শামীম হোসেন (৩৭) ও তার মেয়ে রোশনি খাতুনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এসএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।