ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

সামরিক সচিবের মরদেহ দেখতে সিএমএইচে প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:০১, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
সামরিক সচিবের মরদেহ দেখতে সিএমএইচে প্রধানমন্ত্রী সামরিক সচিবের মরদেহ দেখতে সিএমএইচে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের (বীর বিক্রম) মরদেহ দেখতে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিএমএইচে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং তাদের সান্তনা দেন।

এ সময় সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের মরদেহ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে এসে পৌঁছায়। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের জন্ম। তার বাবার নাম মরহুম ইছহাক মিয়া ও মাতা মরহুমা মেহেরুন্নিছা।

লোহাগাড়ার চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসায় পড়ালেখার হাতেখড়ি। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে এসএসসি ও ১৯৭৭ সালে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। দুই বছর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৫-৯৬ সালে দায়িত্ব পালনকালে তার সাহসী নেতৃত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার কারণে অনেক জটিল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়। দেশের প্রতি নির্ভয় আত্মত্যাগ, পাহাড়সম মানসিক দৃঢ়তা ও দেশ সেবার মহান ব্রত বিবেচনায় তাকে মর্যাদাপূর্ণ ‘বীর বিক্রম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

একজন চৌকস সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও কর্মদক্ষতার কারণে শান্তিরক্ষী মিশন থেকে ফিরে আসার পর তাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে এসএসএফ এর মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। এপ্রিল মাসে মেজর জেনারেল পদে তিনি পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।