ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০ দফা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০০, মে ২০, ২০১৯
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০ দফা

ঢাকা: ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশা এবং মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সোমবার (২০ মে) সংবাদমাধ্যামে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে ২০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ঈদ আনন্দ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এই অবস্থা কাটিয়ে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘযাত্রার ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালু করতে হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেন মোজাম্মেল হক।  

এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ২০ দফা প্রস্তাবনা হলো- 
১. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ করা।
২. মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা।
৩. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানায় রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা।
৪. টোল প্লাজার সবক’টি বুথ চালু করা ও দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।
৫. মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা।
৬. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।
৭. মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা।
৮. অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।
৯. অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করা।
১০. ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
১১. লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা।
১২. বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা।
১৩. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পদচারী সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যাবস্থা রাখা।
১৪. ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।
১৫. ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।
১৬. যাত্রা বিরতিকালে খাবার হোটেলে যাত্রীসাধারণ যেন মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ীমূল্যে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
১৭. দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
১৮. অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকে পড়া যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা রাখা, ইফতারের সুবিধার্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা।
১৯. জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়ান গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা।
২০. সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।