রোববার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে সোয়া ৩টা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ হট্টগোল চলতে থাকে।
জানা যায়, মিরপুরের পল্লবী জুটপট্টি এলাকায় সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় আমিন নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
পরে, খবর পেয়ে আমিনের স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এসেই মর্গের ট্রলির ওপর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন তারা। বলতে থাকেন, আমিন বেঁচে আছে, সে শ্বাস নিচ্ছে।
এরপরই শুরু হয় মরদেহ নিয়ে টানাহেঁচড়া। স্বজনরা ছুটে যান মেডিকেল অফিসারের কাছে। তাদের অভিযোগ, আমিন বেঁচে থাকতে তাকে কেন মর্গে রেখেছেন? মেডিকেল অফিসার তাদের বক্তব্য শুনে ওয়ার্ড বয়দের নির্দেশ দেন, মর্গে থাকা আমিনের মরদেহ নিয়ে আসতে। তিনি আবার পরীক্ষা করে দেখতে চান।
মর্গ থেকে ওয়ার্ড বয়রা মরদেহ বের করার সঙ্গে সঙ্গে আমিনের স্বজনরা তাকে নিয়ে দ্রুত জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে যান। তারা বলতে থাকেন, আমিন মরেনি, এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। তাই তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাবো।
এ নিয়ে আবারো শুরু হয়ে যায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা স্বজনদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, আমিন আর বেঁচে নেই। আপনারা নিয়ম মেনে মরদেহ নিয়ে যান, জোর করে নেওয়া যাবে না।
শেষ পর্যন্ত স্বজনরা তাদের কথা মেনে নিলে আমিনের মরদেহ আবারো মর্গে রাখা হয়।
ঢামেক জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদ বাংলানিউজকে বলেন, আবেগের কারণে স্বজনরা অনেক দাবি করতে পারেন। সে দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলা হয়েছে, আমিন অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। এ কারণে তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, স্বজনদের সঙ্গে আনসারদের ধাক্কাধাক্কি- হট্টগোল ও বাঁশির আওয়াজে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ৫০-৬০ জন আনসার সদস্য যদি একসঙ্গে বাঁশি বাজায়, সেখানে কী অবস্থা হতে পারে ভাবুন। এটাতো হাসপাতাল, খেলার মাঠ না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এজেডএস/একে