বুধবার (০৮ মে) রাতে তারাবির নামাজের পর সরেজমিন শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পাশে, নূর মসজিদের বিপরীতসহ বিভিন্নস্থানে এরকম ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে আখের শরবত বিক্রি করতে দেখা যায়। দেখা মেলে লেবু ও ওরস্যালাইনের শরবত বিক্রি করতেও।
কথা হয় শহীদ মিনারের পাশের আখের শরবত বিক্রেতা কবিরের সঙ্গে। তিনি জানান, আখ কেনার পর নদীর পানিতে ধুয়ে আনেন, অনেক সময় পুকুরের পানিতেও ধুয়ে থাকেন। পরে এগুলো সারাদিন এভাবে খোলাই থাকে, এতে পথের ধুলোবালি পড়লেও তেমন অভিযোগ থাকে না পানকারীদের। আর বরফকলের বরফ কিনে আনেন তারা, যেগুলো সকালে মাছবিক্রেতাদের দেওয়ার পর অবশিষ্ট থাকে সেগুলোই। অনেক সময় মাছবিক্রেতাদের বিক্রি শেষে তাদের বরফও নিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।
প্রতি গ্লাস শরবত ১০টাকা করে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। তবে বরফ ছাড়া শরবত খেলে ২০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে।
জানা যায়, এসব আখগুলো খোলামেলা অবস্থায় সারাদিন পথের পাশে রাখার ফলে এতে পথের ধুলাবালি এসে পড়ে এবং মশা মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ও এগুলোতে বসে। তার উপর হাত না ধুয়েই এসব মেশিনে আখগুলোর শরবত করেন বিক্রেতারা। এসব বরফ মাছ তাজা রাখতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো এখন শরবতের সঙ্গে মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর।
এসব পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর তাই দ্রুত এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা শরবত বিক্রেতাদেরও। যেকোনো স্থান থেকেই পানি সংগ্রহ করে সেখানে এই বরফের সঙ্গে লেবু ও ওরস্যালাইন মিশিয়ে শবরত বানিয়ে তা পথচারীদের খাওয়াচ্ছেন বিক্রেতারা।
শরবত খেতে আসা সোলাইমান বাংলানিউজকে জানান, আমি নামাজ পড়ে বের হয়েছি ভাবলাম এক গ্লাস আখের শরবত খেয়ে নেই কিন্তু এখানে তার অপরিষ্কার হাতের আখের শরবত, ময়লা বরফ আর মাছির অবস্থা দেখে আর খেলাম না। দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, নয়তো এসব পানীয় পানে মানুষ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এএটি