এদিকে সুবীর নন্দীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হবিগঞ্জে। সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণী-পেশার লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শোক প্রকাশ করছেন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, সুবীর নন্দী ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার গর্ব। তার মৃত্যুতে হবিগঞ্জের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, হবিগঞ্জবাসী যখন আমাকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বদলীয় নাগরিক সংবর্ধনা দেয়, সেখানেও তিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আমার কর্মকাণ্ডের প্রসংশা করেছিলেন। তিনি আমাকে কর্মবীর বলে সম্বোধন করেছিলেন। আমি তার এ প্রসংসায় উজ্জীবিত হয়েছিলাম।
সুবীর নন্দীর শিক্ষক সরকারি বৃন্দাবন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নিখিল ভট্টাচার্য্য বলেন, আমি আজ বিষন্ন। আমার সুবীর আর নেই। এ খবর যেন বিশ্বাসই হতে চায় না। আমি তার এ মৃত্যু সহ্য করতে পারছি না। আমি যখন কলেজে হিসাববিজ্ঞান পড়াতাম, সুবীর তা বুঝতো না বলে আমি ধমক দিতাম। সে তখন শুধু হাসতো। সুবীর অত্যন্ত অমায়িক ছিল এবং গান দিয়ে কলেজকে মাতিয়ে তুলতো। সবাই তাকে ভালোবাসে।
তিনি আরও বলেন, সুবীরের বাবা হবিগঞ্জে বাসা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল জীবনের শেষ সময়ে হবিগঞ্জে বসবাস করা। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারি জায়গার পাওয়ার চেষ্টা করতেও বলেছিলাম আমি।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সুবীর নন্দী ছিলেন নিরহংকার এবং অমায়িক মানুষ। তিনি ছিলেন সঙ্গীত ভূবনে উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমরা যখন কোনো প্রোগ্রামের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানাতাম, তিনি অত্যন্ত খুশি মনে তা গ্রহণ করতেন। তার মৃত্যুতে জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জেলা প্রশাসন থেকে সরকারি জায়গার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে তার একটি ইচ্ছা ছিল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এসএইচ
