মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেল ৪টা থেকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ে তিন ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে শ্রমিকরা। এর আগে নিজ নিজ মিল গেট থেকে থালা-বাসন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শ্রমিকরা।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের ৮ থেকে ১১ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনার পরিমাণ প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা। বকেয়া মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন। এ কারণে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধসহ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকরা জানান, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের রোয়েদাদ ২০১৫ কার্যকর, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ, চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বহাল, সব মিলে সেটআপের অনুকূলে শ্রমিক-কর্মচারীদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ ও স্থায়ীসহ ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকরা গত ৫ মে থেকে মিলে উৎপাদন বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাধ্য হয়েই শ্রমিকরা রাজপথে নেমেছে। তারা তো ভিক্ষা চায় না, ন্যায্য পাওনা চায়। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবি মানা না হলে সিবিএ-নন সিবিএর বৈঠকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমীন জানান, বিজেএমসির সঙ্গে বৈঠকের পর গত তিন সপ্তাহে মাত্র একটি মজুরি দিয়েছে। আগের বকেয়া মজুরি তো দেয়নি বরং চলতি দুই সপ্তাহের মজুরিও পাওয়া যায়নি। শ্রমিকদের একটি পরিবারেও সেহরি বা ইফতারের খাবার নেই। ক্ষুধার কষ্টে তারা রাজপথে নেমেছে।
পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, দাবি আদায়ে ৭ ও ৮ মে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করবে শ্রমিকরা। এই দু’দিন আন্দোলনরত শ্রমিকরা রাজপথেই ইফতার করবেন। একই সঙ্গে ঢাকায় সিবিএ-ননসিবিএ নেতাদের বৈঠক থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এমআরএম/এএ