ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

আজমিরীগঞ্জে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কুশিয়ারার বাঁধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৩৯, মে ৫, ২০১৯
আজমিরীগঞ্জে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কুশিয়ারার বাঁধ ড্রেজার মেশিনে বালু তোরা হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ। 

নদীর এক পাড়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বাঁধ রক্ষার কাজ চললেও অপর পাড়ে সেই বাঁধকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে বালু। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও নৌ টার্মিনাল সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীতে বিশাল আকারের ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মস্তু মিয়া এবং আব্দুল মতিনের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে দিনরাত। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন হাফাই মিয়ার বিশাল পুকুর ভরাটের কাজে সেই বালু বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা ফুটে। বর্তমানে দিনরাত চলছে এই পুকুর ভরাটের কাজ। এতে হুমকির মুখে পড়েছে হাওর ও বাজার রক্ষা বাঁধ।

গত মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খন্দকার অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়নি এই অবৈধ বালু উত্তোলন। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আজমিরীগঞ্জে যে স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তার বিপরীত দিকে ইটনা উপজেলার আমীরগঞ্জ বাজার। বাজারটি রক্ষার জন্য সেখানে বাঁধ সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।  অথচ বিপরীত দিকেই বাঁধকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার জানান, বিষয়টি জেনে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের পাইপ উঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি অফিসের কাজে বাইরে ব্যস্ত থাকায় তহশীলদারের মাধ্যমে এই খবর পাঠান। যদি পাইপ উত্তোলন না করা হয় তাহলে ড্রেজার মেশিনসহ বালু উত্তোলনের উপকরণ ধ্বংস করে দেবে প্রশাসন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।