মামলা সূত্রে জানা যায়, পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী মাহিমা বেগম তার দখল করা জমি ফিরে পেতে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চান। কিন্তু বিচারে চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষের অবস্থান নেওয়ায় মাহিমা বেগম ও তার স্বামী শামসুল হকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় ইউপি চেয়ারম্যান নিশাদের।
এর জের ধরে, বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান নিশাতের নেতৃত্বে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ও রুবেলসহ তার লোকজন মাহিমার বাড়িতে হামলা করে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাহিমাকে মারধর করে। এতে মহিমার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় এবং মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মাহিমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।
বাদী মাহিমা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি তার জমি জবর দখল করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানকে বিচার দিলে চেয়ারম্যান সুবিচার না করে উল্টো মতিয়ারের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ কারণে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান রাতে তার লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ বাংলানিউজকে জানায়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রামবাসী ওই মহিলার ওপর চড়াও হয়েছিল। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিক্ষুদ্ধ জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করেছি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর আলী বাংলানিউজকে জানান, মামলা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এনটি