ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

এক পয়েন্ট সরকারি জমিও দখল না করার দাবি চেয়ারম্যানের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৬, মে ৫, ২০১৯
এক পয়েন্ট সরকারি জমিও দখল না করার দাবি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন করছেন জিয়াউল হক বকুল। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল তার বিরুদ্ধে ২৭ একর সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

তিনি বলেছেন, ২৭ একর নয় এক শতাংশ বা এক পয়েন্ট সরকারি জমিও তার দখলে নেই। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখারও দাবি জানান।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগের জবাব দেন জিয়াউল হক বকুল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৭ মে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর এলাকার সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মাধ্যমে এই ৩ বছরে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করেছেন। এলাকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা ছাড়াও দাঙ্গা-ফ্যাসাদ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। ইউনিয়নের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকার মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন গত কয়েক মাস ধরে গ্রামে এবং ইউনিয়নে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেন বকুল।

বকুল বলেন, ‘তাকে এবং তার পরিবারের লোকজনকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সঞ্জয় বিশ্বাসকেও হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তারা। ’

বকুল আরো অভিযোগ করেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ভাই মোশারফ হোসেনের সহযোগিতায় তাদের ভাতিজা রিয়াদুল হোসেন সবুজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বিভিন্ন লেখা এবং তার বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট দিচ্ছেন। ’ 

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ওই ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।