শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে কমলনগরের মেঘনাপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে উঁচু ঢেউয়ের তালে তালে বাড়ছে পানি। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি বেড়েছে অনন্ত ৩ থেকে ৪ ফুট।
জানা যায়, নদীতে পানি বাড়তে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কমলনগরের মেঘনা নদীর বিশাল এলাকাটি অরক্ষিত। এখানে পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ নেই। তাই পানি বাড়তে থাকলে এখানকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পাকা সয়াবিন, মাঠে থাকা মরিচ, বাদাম ও ডালসহ বিভিন্ন ফসল। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির কারণে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে মেঘনা নদীর ভাঙন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীতে পানি বেড়েছে। তবে কি পরিমান বেড়েছে, তা জানি না।
লক্ষ্মীপুরে ফণী মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে মাইকিং চলছে। তাছাড়া লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীতে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকেও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের ৩৭৫ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো খাবার ও আট লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব পাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএ/