শুক্রবার (০৩ মে) বিকেল থেকেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে এ এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শরণখোলা ছাড়াও রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলারও কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছে।
জেলার সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ চারটি ইউনিয়নের শরণখোলা উপজেলায় ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে লোক তত বাড়ছে।
চালিতাবুনিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে আসা মহিবুন্নাহার বেগম বাংলানিউজকে জানান, বাড়িতে একা আছি। মাইকিং শুনে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসছি। এখানে এসে দেখি অনেকেই আছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে আসা ছরোয়ার হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, সিডরের দিন বিকেলে মাইকে বলেছিল আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে যেতে। তখন না বুঝে যেতে পারিনি, হারিয়েছি মূল্যবান সম্পদ ও স্বজন। এবার ঝড়ের কথা শুনেই আশ্রয় কেন্দ্র চলে এসেছি স্ব-পরিবারে।
সাউথখালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নের বগী, সাউথখালী, সাতঘর, গাবতলা ও চালিতাবুনিয়ার মানুষ সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার। তারপরও কেউ কেউ যেতে চাচ্ছেন না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবর থেকেই আমরা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। অন্য যারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাদেরও আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জেলার ২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। ৪০ থেকে ৪৫ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি রাত হতে হতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কন্ট্রোল রুম সচল আছে। উপজেলাগুলোতে আমাদের অফিসার পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এনটি