শুক্রবার (৩ মে) বাদ জুমা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এ দোয়া ও মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
এদিকে, জুমা নামাজ শেষে দুপুরে ২ টার দিকে বরিশালের আকাশের মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পরিবেশ কিছুটা অন্ধাকার হয়ে যায়।
প্রশাসন দুপুর ৩টা থেকে সব ধরনের নৌযানসহ খেয়া পরাপারের ট্রলারও বন্ধ ঘোষণা করেছে। আর বিকেল ৫টার মধ্যে উপকূলের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। পাশাপাশি ‘ফণী’র আঘাত মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে মাইকিং করেছে স্বেচ্ছাসেবকরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ কার্যকর থাকবে। একতলা লঞ্চগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বরিশাল নদীবন্দরে অবস্থান করা পথ শিশুদের অপরাজেয় বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাদের শেল্টার হোমে নিয়ে গেছেন।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার জানান, তারা কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
নদীবন্দর পরিদর্শনে এসে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সভা করেছেন এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন।
‘ফণী’ মোকাবিলায় ত্রাণ, মেডিকেল টিম আর আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/