দ্বীপজেলার সব মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
এদিকে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে গেলেও তারা বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু নিয়ে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলার ৬২টি চরে সর্বমোট ৩৯টি মাটির কিল্লা থাকলেও জেলায় গরু রয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার, মহিষ ৭৮ হাজার, ছাগল এক লাখ ৯৬ হাজার ৯শ’ এবং ভেড়া রয়েছে ২১ হাজার। এসব কিল্লায় মাত্র ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার গবাদি পশু রাখার জায়গা হবে। অল্প কিছু গবাদি পশুর আশ্রয় মিললেও বাকি গবাদি পশুকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। এতে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে বাথান ও পশু মালিকদের মধ্যে। কারণ যেকোন সময় ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানলে উপকূলের দ্বীপচরের গবাদি পশুর ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। ঝুঁকির মুখে রয়েছে গবাদি পশুগুলো।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, ঢালচরে ৫ হাজার গরু-মহিষ রয়েছে কিন্তু এসব গবাদি পশুর জন্য নেই কোনো মাটির কিল্লা। এতে জোয়ারে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে এসব পশু। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য এলাকারও।
তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, পশু রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলা সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র জানান, গবাদি পশুকে রক্ষার জন্য মাটির কিল্লা চাড়াও গুচ্ছ গ্রাম এবং উঁচু স্থানে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যেোগ মোকাবিলায় ২০টি মেডিকেল টিম ও ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ভোলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন জানান, দুপুর পর্যন্ত জেলার জনবসতি পূর্ণ ২৫ চরের ২১ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বাকিদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ চলছে।
জেলার সাত উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৬৫৭টি। এসব কেন্দ্রে সাড়ে ৫ লাখ মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে। সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া ভারী ও মাঝারি ধরনের বাতাস বইছে। এতে উৎণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন উপকূলের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
আরএ