বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে শহরের বেরিবাধের আশপাশে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকের মাধ্যমে সংকেত জানিয়ে সতর্ক ও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার গ্রুপ ও ফায়ার সদস্যরা।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সিপিপি, স্কাউট ও অনান্য ভলান্টিয়ারদের মসজিদের মাইক এবং রিক্সা মাইক ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
প্রবল ঘূর্নিঝড় ফণি’র প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ১১১টি মেডিকেল টিম ও ৩৯১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতসহ এবং পর্যাপ্ত ঔষধ ও খাদ্য মজুদ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম
বলেন, ঘূর্নিঝড় ফণি’র প্রভাব মোকাবিলায় ১ লাখ ২০ হাজার খাবার স্যালাইন, ১ লাখ ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট এবং ১০০০ ও ৫০০ মিলিগ্রামের ৩শত কলেরা স্যালাইনসহ যাবতীয় ঔষধ সরবরাহ এরইমধ্যে করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ৫ জনের ১টি টিম করে জেলায় মোট ১১১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০২ মে) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দফায় দফায় জরুরী সভা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেসব সভাসূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেলায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের পাশাপাশি শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় শেখ হাসিনা সেনানিবাসের প্রতিনিধি মেজর আতাউর বলেন, ৮টি উপজেলায় ৪টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫০০জন সেনা সদস্য উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় কাজ করবেন।
অপরিদেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, জেলার ৮টি থানা ও ৫টি তদন্ত কেন্দ্র এবং গ্রাম পুলিশ দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় কাজ করবে।
এদিকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নগদ ১০ লাখ টাকা ও ১৮৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। এছাড়াও ২৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে।
তিনি জানান, সিপিপির ৬ হাজার ৫২৫ জন, ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ১০০জন, স্কাউট ৩০০জন, রেড ক্রিসেন্ট ৫০জন ও বেসরকারি এনজিও কর্মীরা সংকেত প্রচারে কাজ করছে। জেলা তথ্য অফিসের সৌজন্যেও সংকেত ও করণীয় প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বেরিবাধের বাহিরে ও নিম্নাঞ্চলে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য পটুয়াখালী, কলাপাড়া, গলাচিপাসহ জেলার সকল পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ৩৯১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এছাড়াও গবাদিপশুর জন্য মাটির কেল্লা নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়াও কৃষি শস্য, মৎস্য সম্পদ ও প্রাণী সম্পদ রক্ষায় আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএমএস