তিনি বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সেবা পেতে মানুষের যে দীর্ঘ সময় লাগতো, এখন থেকে আর লাগবে না। সবাই ঘরে বসেই সেবা পেয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজউকের ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশের মালিক জনগণ, আমরা জনগণের সেবক। মালিকদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য। আমরা এখন যুগান্তকারী পরিবর্তনের যে ধারার সূচনা করলাম, সেটা এখানে শেষ হবে না, এটা চলমান প্রক্রিয়া।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাজউকের সিটিজেন চার্টার বড় হরফে টানানো থাকবে। সেবা গ্রহণে একটা সময় নাগরিকের যে সময় লাগতো, সেখান থেকে যে উত্তরণ হয়েছে সেটা মানুষকে জানতে হবে। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী স্তরে নাগরিকদের সুবিধা দেওয়া আছে, সেটা তাকে জানতে হবে। যারা কিছু বোঝেন না, তাদের জন্য হেল্প ডেস্ক থাকবে।
রাজউকের আটটি জোনের প্রতিটিতে এক্সপার্ট টিম থাকবে। কেনো মানুষ সেবা পাবে না, কেনো রাজউকের নানা সমালোচনা হবে। সেই সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা এ কর্মসূচি নিয়েছি।
সমসাময়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিও শুনতে হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু অপ্রয়োজনীয়। আমার কাছে মনে হয়, মানুষ যখন রাজনীতির চূড়ান্ত দেউলিয়াপনায় পৌঁছে যায়, তখন বোধ হয় নিজের অস্তিত্বের শিকড় এদিক-ওদিক, শূন্যে খোঁজে। দেউলিয়াপনার ভেতর থেকে বিএনপি বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না।
রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে বিত্ত-বৈভব বড় নয়। চিত্তকে বিত্তবান করেন। নৈতিকতাকে বড় করেন, মূল্যবোধকে বড় করেন। আসুন আমরা সবাই মিলে শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন নয়, নীতি-নৈতিকতায়, মূল্যবোধে উন্নত হই।
রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, টেকনো হ্যাভেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হাবিবুল্লাহ এম করিম, রাজউকের সদস্য (প্রশাসন-অর্থ) আমজাদ হোসেন, সদস্য (স্টেট-ভূমি) আজহারুল ইসলাম, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ রাজউকের সদস্য ও অন্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/