ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

তিন দিনের রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব শুরু গণগ্রন্থাগারে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২৭, মে ৩, ২০১৯
তিন দিনের রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব শুরু গণগ্রন্থাগারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান

ঢাকা: ‘নূতন তব জন্ম লাগি কাতর যত প্রাণী-কর’ ত্রাণ মহাপ্রাণ, আন’ অমৃতবাণী’ প্রতিপাদ্যে শুরু হলো বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে তিনদিনের এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পী সাজেদ আকবর।

 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সালমা আকবর ও পিযুষ বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সহ-সভাপতি ও শিল্পী প্রমোদ দত্ত।

আয়োজনের উদ্বোধন করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির অতি কাছের, অতি আপন একজন মানুষ। তার কীর্তির অক্ষয় স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন বাঙালি জাতিসত্বার মানসপটে। জ্ঞানজগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলোকসঞ্চার করে আমাদের করেছেন আলোকিত।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। এরপর সংস্থার শিল্পীরা পর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘হে নূতন দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’ ও ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গান দু’টি। অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন সংস্থার ২৫ শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পর্যায়ের গান পরিবেশন করেন।

সুরের মায়াজাল ছড়িয়ে একে একে গেয়ে শোনান আবদুল ওয়াদুদ, সাঈদা  হোসেন পাপড়ি, রাবেয়া আক্তার, শাকিল হাশমি, নাসরিন আক্তার, সেলিনা হুদা, টিপু চৌধুরী, সুমাইয়া ফারাহ খান, কাকলী গোস্বামী, মেহনাজ হোসেন, সুচিত্রা চক্রবর্তী, শিল্পী রায়, সুমি চক্রবর্তী, উত্তম সাহা, টিংকু শীলসহ আরও অনেকে।

তারা একে একে পরিবেশন করেন- আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ, সখী ভাবনা কাহারে বলে, সেই তো আমি চাই, তোমায় গান শোনাবো, বিরহ মধুর হলো আজি, কোন সুদূর হতে আমার, মেঘ বলেছে যাব যাব, অনেক কথা যাও যে বলে, আমি তোমারি মাটির কন্যা, মনে রবে কি না রবে ইত্যাদি। রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী বেলায়েত হোসেন।

অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় একই ভেন্যুতে আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশন করবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাজেদ আকবর, গোলাম হায়দার, সালমা আকবর, মাহজাবীন মৈত্রী, মীরা মন্ডল, মিতা দে, তনুশ্রী দীপক, মামুন জাহিদ খান, অভিক দে, আজিজুর রহমান তুহিন, মকবুল জয়ন্ত আচার্যসহ আরও অনেকে।

এছাড়া দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতগুরু ও বাংলা খেয়ালের স্রষ্টা ড. আজাদ রহমানকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করবে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় ও সমাপনী দিন শনিবার (৪ মে) তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। ওইদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সভাপতিত্ব করবেন সংস্থার সভাপতি ও সঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদ।

সমাপনী দিনেও সংস্থার অর্ধশতাধিক শিল্পী একক ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেবেন। পাশাপাশি খ্যাতিমান বাচিক শিল্পীরা পরিবেশন করবেন আবৃত্তি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।