বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরের পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (bmd.gov.bd)-তে প্রবেশ করা যায়নি। রাত নয়টার দিকেও খোলেনি ওয়েবসাইট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বিকেলে সচিবালয়ে এক সভায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগপর্যন্ত সবাইকে তথ্যগুলো জানাতে হবে, সেজন্য বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি জানান, অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ হিট করেছে। তাতে হ্যাং হয়ে গেছে। আমাদের ক্যাপাসিটি ৫-৭ লাখ থাকা উচিত ছিল, সেটি নেই।
তিনি বলেন, তথ্য পেলে প্রতিটি মানুষ নিজে নিজে চেষ্টা করে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন। আঘাত হানার আগ পর্যন্ত এক সেকেন্ডও যেন বন্ধ না থাকে। ইন্টারনেটের ওঠানামাও যেন না করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে বিটিসিএলকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
সভায় বিটিসিএলের একজন কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। দুটো চালু আছে, বিভ্রাট না হলে স্বাভাবিকভাবে চলছে।
আবহাওয়ার তথ্য জানতে টোল ফ্রি নম্বরটিও অতিরিক্ত চাপে সেবা দিতে পারেনি।
পরিচালক বলেন, ১০৯০ ইমপ্রুভমেন্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।
১০৯০ সেবা নিশ্চিত করা নিয়ে টেলিটকের এমডি বলেন, গতকাল একটু ঝামেলা ছিল। রাত দেড়টার দিকে ডেভেলপ করেছি, এখন চালু করেছি। ঘণ্টা দুয়েক পরে কন্ডিশন কমে যাবে। এটি খুব হিট হচ্ছে।
সচিব বলেন, নম্বরটি টোল ফ্রি। একসঙ্গে ৬০০ জন কল করতে পারেন। দৈনন্দিন আবহাওয়া, সমুদ্র ও বন্যার অবস্থা জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ