বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন গৃহীত প্রস্তুতিগুলো তুলে ধরে জানানো হয় যে, জেলার নয়টি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে খুলনার নয়টি উপজেলার সব ইউনিয়নে একটি ও প্রতি উপজেলা সদরে পাঁচটিসহ মোট ১১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী উপকরণের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার, নার্স ও জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে। ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০৪১-২৮৩০০৫১।
একইসঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে ন্যাশনাল হেল্প লাইন নম্বর ৯৯৯ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে আগামী শুক্র ও শনিবার খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস খোলা থাকবে।
সভায় খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক, পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দারসহ সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় খুলনা জেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরে একই স্থানে জেলা প্রশাসন জরুরিভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্সে মিলিত হয়।
বাংলাদেশসময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/