বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে র্যাব-৪ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (০১ মে ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি টিম রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এই ১৫ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে।
তারা হলেন- নুরুল ইসলাম (৩৭), মিনার মিয়া চৌধুরী (৪২), মিজান (৫০), তোফাজ্জল করিম তানভীর (৪১), আক্তার ফারুক (৪৩), রাজু (৪১), গোলাম মোস্তফা শাকিল (৪২), শাকিল খান সৈকত (৩০), জাহাঙ্গীরুল আবেদীন বাবলু (৪৮), আজগর আলী হাওলাদার (২৭), সিরাজুল ইসলাম (৪৫), শামীম মিয়া (৪০), অজয় চাকী (৪০), হারুন উর রশিদ ওরফে বাদল (৪৭) এবং তুষার আহমেদ (২০)।
র্যাব-৪ জানিয়েছে, প্রতারক চক্রটির প্রতিটি সদস্য প্রতারণাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাদের এ সংগঠনের একটি সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। তারা প্রতারণার এই পেশাকে মিডিয়া বিজনেস বলে থাকে এবং নিজেদের মিডিয়া ম্যান বা মিডিয়ার কাজ করি বলে পরিচয় দেয়। তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকে এবং এক একটি গ্রুপে পাঁচটি স্তরের সদস্য থাকে। প্রতিটি প্রতারণার অফিসের রিসিপশনে একজন সুন্দরী, স্মার্ট ও শিক্ষিত মেয়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি বিভিন্ন কথাবার্তা ও আচার-আচরণের মাধ্যমে টার্গেট গ্রাহককে অফিসের মালিক সম্পর্কে উচ্চ মনোভাব ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করেন। এরপর শুরু হয় নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারণা।
অফিসের মালিক (এমডি/চেয়ারম্যান) এই প্রতারণা চক্রের একজন অন্যতম হোতা। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন নামীদামি এলাকায় অফিস ভাড়া করে রক্ষণাবেক্ষণ, আসবাবপত্র কেনা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ করে একটি আধুনিক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির আদলে ভুয়া অফিস সাজিয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তারা।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমএমআই/টিএ