ঢাকা, রবিবার, ২২ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শরীয়তপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:১০, মে ২, ২০১৯
শরীয়তপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় লাবনী আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লাবনী ওই গ্রামের দরিদ্র কৃষক আলী আকবর মাদবরের মেয়ে।

তিনি শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, দুই মাস আগে একই ইউনিয়নের উত্তর শৌলপাড়া মুন্সিকান্দি গ্রামের কুদ্দুস মুন্সীর ছেলে নাঈম মুন্সির সঙ্গে লাবনীর বিয়ে হয়। লাবনী ও নাঈমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে লাবনীকে বাবার বাড়ি নিয়ে আসা হয়।  

বৃহস্পতিবার সকালে লাবনী ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর লাবনীর মা তাকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লাবনীকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় লাবনীর মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  

লাবনীর বাবা আলী আকবর মাদবর বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি ঘর নির্মাণের জন্য মেয়ের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছে নাঈম ও তার পরিবার। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অপমান ও খারাপ ব্যবহারের কারণে লাবনী আত্মহত্যা করতে করতে পারে।

এ বিষয়ে লাবনীর শাশুড়ি বাংলানিউজকে বলেন, কি কারণে লাবনী আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারবো না। আমার ছেলে নাঈম ঢাকায় রয়েছে। খবর পেয়ে সে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে।  

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।