ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসের বরাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলসমূহের কতিপয় স্থানে ৫ মে (শনিবার) সকাল ৯টা নাগাদ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের বিশেষ করে সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যাদুকাটা ও তিস্তা নদীর পানির সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাংলাদেশের কানাঘাটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫১ মিলিমিটার আর ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যক্ষেণাধীন ৩৯ স্টেশনের মধ্যে সমতলে বেড়েছে ২৬টি স্টেশনের পানি। কমেছে ৮টিতে। আর অপরিবর্তিত আছে ২টি স্টেশনের পানি। আর স্টেশন বন্ধ আছে ১টি, গেজ পাঠ পাওয়া যায়নি ২টি স্টেশনে, তথ্য পাওয়া যায়নি ৩টি স্টেশনে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র অগ্রভাগ শুক্রবার (৩ মে) সকালে খুলনায় প্রভাব ফেলবে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া অধিদফতর এরই মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
‘ফণী’র অভিমুখ এখন পর্যন্ত ভারতের উড়িষ্যার দিকে রয়েছে। উড়িষ্যা দিয়ে ঢুকে, পশ্চিমবঙ্গ, খুলনা অঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি অংশ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে ভারতের আসামের গিয়ে শান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
ইইউডি/এমএ