ঢাকা, রবিবার, ২২ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ফণী: সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিলেও ঝুঁকিতে ঢালচরের মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৫, মে ২, ২০১৯
ফণী: সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিলেও ঝুঁকিতে ঢালচরের মানুষ

ভোলা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় দ্বীপজেলা ভোলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝড়ের আগে, ঝড়ের সময় এবং ঝড় পরবর্তী সময় করণীয়সহ মোট তিন ধাপের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

দ্বীপজেলা ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই জেলার মূল ভূ-খণ্ডের বাইরের বাসিন্দারের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপিকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

 

তবে এতো প্রস্তুতি নেওয়ার সত্ত্বেও ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর উপকূলের জনপদ ঢালচর। দ্বীপটির চারদিকে নদী ও সাগর বেষ্টিত। সেখানে একটি মাত্র আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ওই জনপদের ১৮ হাজার মানুষ।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, এখন সাগর উত্তাল। নৌ-পথেও ঝুঁকি বেড়েছে। মূল ভূ-খণ্ডে আনার জন্য ১০/১২টি ট্রলার প্রস্তুত রাখা হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবাহওয়ার কারণে সবাই চরের মধ্যেই আটকে পড়েছে।

মাইকিং করা হচ্ছে।  ছবি: বাংলানিউজ

তিনি আরও বলেন, পুরো ইউনিয়নে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষের বাস। কিন্তু এসব মানুষের জন্য কোনো আশ্রয় কেন্দ্র নেই। গরু-মহিষ রাখার জন্য নেই কোনো মাটির কিল্লা। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে এ জনপদের বাসিন্দারা।

ইতোমধ্যে, ঝূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলার নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ জেলে নৌকা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসছে।  

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে চরের বাসিন্দারের অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থান সংকুলনের জন্য যাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের মূল ভূ-খণ্ডে আনার কাজ চলছে।  

তিনি আরও জানান, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম। ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে উপকূলীয় এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধিদের জন্য ৮০ সদস্যের আটটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা প্রতিবন্ধিদের সহায়তা কাজ করবে। ঝড় মোকামেলায় গত দুইদিনে তিন দফা বৈঠক করা হয়েছে।  

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সিপিপির স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঝড়টি পায়রা বন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে। এটি বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।