আগাম সতর্কতা হিসেবে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচাল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সংকেত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উদ্যোগে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যেখানে বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে নিজ থেকেই সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর ১টার দিকে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সি-বোটে করে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালান।
অপরদিকে সিপিপির উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, সিপিপির আওতাধীন বরিশাল বিভাগের ১ হাজার ১০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৪ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় চলছে সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা।
বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা (ইউএলও) মো. গোলাম কবির বাংলানিউজকে জানান, বরিশালে তাদের প্রায় ৪শ’ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) রয়েছেন। এদের প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উদ্ধারকারী সরঞ্জামগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমএস/এএটি