বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টায় হঠাৎ করে অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এতে করে অভ্যন্তরীণ ১২টি রুটে চলাচল করা ৫৫টি একতলা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। যারমধ্যে বেশিরভাগই ব্যবসা ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজে ভোলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বরিশাল শহরে এসেছিলেন। যারা এখন অনেকটাই আটকে পরার মতো অবস্থায় রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটি’র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. কবির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পরই সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন।
বরিশাল সদর নৌথানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন জানান, বিআইডব্লিউটি’র নির্দেশনা মেনে কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। জেলায় ২৩২টি সাইক্লোন শেল্টার, চারশ স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিমের পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিমকে নিরাপদ, গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/