বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত এরশাদ উপজেলার ৮ নং চেংমারী ইউনিয়নের মোসলেম বাজারের বড়বাড়ি গ্রামের মৃত ধিয়ান উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ মিয়া দিনমজুরের কাজ ছাড়াও ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এরশাদ ১১ বছর আগে ছড়ান বালুয়া এলাকার আছেমা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না। এরশাদের পাঁচ বছরের মেয়ে তার বাবার সঙ্গে থাকলেও তার স্ত্রী ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। বুধবার (০১ মে) রাতে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রীর কান্নার শব্দে পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে ঝুলন্ত অবস্থায় এরশাদের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইদ্রিস আলী মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিতে জানা যায় অন্ডকোষ চেপে ধরার কারণে এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এরশাদের পাঁচ বছরের মেয়ে সাদিয়া পুলিশকে জানায়, আরও দু’জন লোকের সহযোগিতায় আমার মা বাবার মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গলা ফাঁসা লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, একমাস আগে এরশাদ তার স্ত্রী আছেমা বাড়িতে নেই বলে অভিযোগ করেন। তাকে থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে বললে তিনি জিডি করেন। আমি তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে আসা যায় কিনা সে বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি বুধবার (০১ মে) আছেমা এশাদের বাড়িতে আসেন। পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে ও একপর্যায়ে আছেমা স্বামীর অন্ডকোষ চেপে ধরার কারণে এরশাদের মৃত্যু হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শিগগিরই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।
এরশাদের স্ত্রী আছেমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এএটি