এছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেন খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য মজুদ রাখা হয়েছে প্যাকেটজাত সাড়ে ৪ হাজার খাবারের প্যাকেট ও ৪শ মেট্রিকটন চাল।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের এক বিশেষ প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আফসার।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবিদুল ইসলাম, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের মেজর তানজিল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি নুরুল আবছারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপন্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, গত ২৮ এপ্রিলও আমরা একটি মিটিং করেছি। যেহেতু সংকেত বেড়েছে, তাই আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকের সভায় একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যদি দরকার পড়ে আমরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলার আটটি উপজেলার ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারের নিয়ন্ত্রণ ইউএনওদের হাতে। পুরো জেলায় ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকজনকে এসব সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে খাদ্য সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সাড়ে চার হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
‘একটি প্যাকেটে একটি পরিবার ১০ দিন চলতে পারবে। এছাড়াও ৪শ মেট্রিকটন জিআর চাল মজুদ রাখা হয়েছে। ৮৯টি মেডিকেল টিম ও প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশনের আরো তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এসবি/এএ