বুধবার (১ মে) রাত ৯টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শ্রীমঙ্গলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার জেরে বুধবার (০১ মে) সকালে একই এলাকার চেরাগ আলীর ছেলে আহাদ মিয়া ধর্ষিতার বাবা রহমান মিয়া ও চাচা সিরাজ মিয়ার সামনে মামলা ও ধর্ষণ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে সিরাজ মিয়া আহাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা ও চাচার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আহাদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সিরাজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষিতার বাবা রহমান মিয়া সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষিতার বাবা ও চাচার সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করে আহাদ। এর প্রতিবাদ করলে আহাদ তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটির চাচা সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আর মেয়েটির বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, আহাদ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার যুবকের আত্মীয় নয়। কেন সে এরকম করলো, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘটনার পরপরই আহাদ পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হত্যাকারী আহাদকে ধরিয়ে দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
একে