বুধবার (১ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বালিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোনায়েম কালীগঞ্জ উপজেলার শাইহাটি গ্রামের শাহবাজ উদ্দিন গাইনের ছেলে।
শোভনালী ইউনিয়নের মেম্বর নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বালিয়াপুর গ্রামে তার ১৫ বিঘার একটি ঘের আছে। বেলা ১২টার দিকে শোভনালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেনের নেতৃত্বে সাবেক মেম্বর হারুনার রশিদ, নাজমুস সাকিব লিটন, আক্তার হোসেন, শাহাদত হোসেন, হাবিবুর রহমান হবি, আকবার আলীসহ ২০-২২ জন দা, রাম দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘের দখল করতে যায়। এসময় ঘেরে অবস্থানরত কর্মচারী মোনায়েম গাইন বাধা দিলে তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয় ঘের দখলকারীরা। এতে মোনায়েম গাইন মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তি না নিয়ে খুলনা মেডিকেলে কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। খুলনায় নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মোনায়েম গাইন।
শোভনালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘেরটি সাবেক মেম্বর হারুন-উর-রশিদের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নজরুল মেম্বর তার লোকজন নিয়ে ঘেরটি দখল করে। পরদিন হারুন-উর-রশিদ লোকজন নিয়ে পুনরায় ঘের দখল করতে গেলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। এসময় মোনায়েম গাইনের মাথায় কোপ লাগে। পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত মোনায়েম গাইনের চাচা রুহুল আমিন গাইন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় শোভনালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেনসহ ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, নজরুল মেম্বরের দখলে থাকা ঘের প্রতিপক্ষ দখল করতে গেলে দায়ের কোপে একজন নিহত হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
জিপি