বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে হাতে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও লাল পতাকা এবং মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো থাকেন শ্রমিকরা। এ সময় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছেন শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো।
এদিকে বেতনভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবে সামনে উপস্থিত হয়েছেন সরকারি কলেজ ও বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
এ সংগঠনের সভাপতি দুলাল সরদার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে স্বল্পবেতন নিয়ে আমরা সংসার চালাতে পারছি না। একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের নূন্যতম বেতন আট হাজার ৫০০ টাকা। অথচ আমরা পাচ্ছি ৫ হাজার টাকা। এই বেতন নিয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এদিকে ১৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট বলেন, সরকারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা করে আইডি নম্বর দিতে হবে। তালিকাভুক্ত সাংবাদিকদের মাসিক ভাতা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা যাবে না।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও ঝুঁকি ভাতাসহ সাত দফা দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবে এসেছেন ঢাকা ইলেকট্রিশিয়ান ওয়াকার্স ইউনিয়ন। এ সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের কাজ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। জীবন হাতে আমাদের কাজ করতে হয় অথচ আমাদের ঝুঁকি ভাতা নাই। অবিলম্বে আমাদের ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে। ১৮৮৬ সালের পহেলা মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হয়েছিল। একইভাবে মহান মে দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নানা স্লোগান ও মিছিল নিয়ে হাজারো শ্রমিক মিলিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এমআইএস/আরআইএস/