ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

অভিযোগের আগেই মানিব্যাগ ফেরত পেলেন মাহবুব! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:০৬, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
অভিযোগের আগেই মানিব্যাগ ফেরত পেলেন মাহবুব! 

ঢাকা: সিঙ্গাপুর থেকে বাবা-মাকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন রাজধানীর শ্যামপুরের সৈয়দ মাহবুব ইসলাম। কিন্তু বিমানেই ফেলে আসেন লাখ টাকা বোঝাই মানিব্যাগ।

সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অনেকেই যেখানে অভিযোগ করেও মূল্যবান জিনিস ফেরত পান না, সেখানে অভিযোগ না করেই মূল্যবান মানিব্যাগটি ফেরত পেয়েছেন মাহবুব ইসলাম।  

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশের আন্তরিকতায় ঘটে এ ঘটনা।

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৮৫ বিমানযোগে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছান মাহবুব ও তার বাবা-মা। তবে বিমান থেকে নামার পর নিজের মানিব্যাগ পাচ্ছিলেন না মাহবুব। বিমানের কোথায় পড়ে থাকতে পারে মানিব্যাগটি তাও অনুমান করতে পারছিলেন না তিনি।

মাহবুব জানায়, মানিব্যাগটিতে এক হাজার মার্কিন ডলার এবং এক হাজার ৬০০ সিঙ্গাপুরের ডলার ছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৭৭ হাজার টাকা। রোববার সন্ধ্যায়ই আর্মড পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী মাহবুবকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার মানিব্যাগটি।

হারানো মানিব্যাগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সৈয়দ মাহবুব ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিজে ঠিক করে মনে করতে পার ছিলাম না কোথায় হারিয়েছি বা ফেলেছি মানিব্যাগ? কারণ বাবা-মাকে নিয়ে টেনশনে ছিলাম, সিঙ্গাপুর থেকে তাদের চিকিৎসা করিয়ে আসছিলাম। আমি যখন গাড়ি থেকে নেমে গ্যাস বিল দিতে গেলাম তখন লক্ষ্য করি আমার মানিব্যাগ নাই। আমি তখন ভাবছি বিমানবন্দরে গিয়ে অভিযোগ করবো। এর মধ্যে আমার মোবাইলে কল আসে।

মাহবুব বিমানবন্দর আর্মড পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আই এম রিয়েলি সেটিসফাইড’। বাংলাদেশ সত্যিই এগিয়ে যাচ্ছে। বিমানবন্দর সিকিউরিটি গার্ড মনিরুল ইসলাম, যে আমার মানিব্যাগ পেয়েছে তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার মানিব্যাগে যা যা ছিল তার সবকিছু আমি বুঝে পেয়েছি।

মানিব্যাগটির সন্ধান পাওয়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজনেস ক্লাসের সিটের মধ্যে মানিব্যাগ পরে থাকা অবস্থায় আমি পাই। তখন সন্ধ্যা ৬টার মত বাজে। সঙ্গে সঙ্গে আমি জানাই বিমানবন্দর আর্মড পুলিশকে। তারা মানিব্যাগ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।  

এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মানিব্যাগ হারানো যাত্রীকে সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার মধ্যে ডেকে এনেছি। তার ডলার তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। বিমানবন্দর থেকে কোনো কিছু চুরি বা হারায় না। ছোট জিনিস হারালেও অভিযোগ করলে আমরা ফিরিয়ে দেই।  

আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু জিনিস ফেরত পায়নি এমন ঘটনা এখন নেই বললে চলে। কারণ হচ্ছে এয়ারপোর্ট সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা যেখানে, যে জিনিস ফেলে যায়। সেটা সেখানেই থাকে। আমরা উদ্ধার করে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেই— বলে যোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএমআই/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।