রোববার (২৮ এপ্রিল) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। রাত সাড়ে আটটায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় তিনি সিরাজ উদদৌলার দেওয়া জবানবন্দির বরাতে বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার সঙ্গে কারাগারে শাহাদাত হোসেন শমীম ও নুর উদ্দিন দেখা করতে এলে তিনি নুসরাতকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে বলেন, চাপ প্রয়োগে কাজ না হলে পুড়িয়ে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা কারাগারের ভেতরে থেকে এ প্রান্তে থাকা শামীম ও নুর উদ্দিনকে এ নির্দেশ দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৭ মার্চ যৌন হয়রানীর মামলা দায়েরের পর ওই মামলা তুলে নিতে নুসরাতকে বারবার চাপ দেওয়া হয়। নুসরাত ও তার পরিবার মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় নুসরাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেন এবং তা আত্মহত্যা বলে প্রচার করার পরামর্শও দেন।
নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানীর মামলায় গত ২৭ মার্চ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় সিরাজ উদদৌলাকে। ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যায়। ওইদিনই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের আদালত সিরাজ উদদৌলাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারের ৮ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/জেডএস