রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই লেকে আসতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
লেকের ২৭ নম্বরের সাম্পান প্রান্ত থেকে শুরু করে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, পুরো লেকই মানুষের পদচারণায় মুখরিত।
সেসময় বৈশাখি সাজে দেখা যায় নানান বয়সের নারী-পুরুষ এবং বাচ্চাদের। ছেলেরা পাঞ্জাবি-ফতুয়া আর মেয়েরা বেশিরভাগই লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে বৈশাখ উদযাপনকে আরও বেশি বর্ণিল করে তুলেছে। পহেলা বৈশাখের এ দিনটিকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে মুঠোফোনে নিজেদের ছবিও তুলতে দেখা যায় অনেককে।
লালমাটিয়া থেকে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ধানমন্ডি লেকে বেড়াতে এসে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরীজীবি ইমামুল হাসান বলেন, রমনা পার্ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনেক ভিড় থাকে বলে এখানে আসা। তবে এখানেও দেখছি একই অবস্থা। তারপরেও ভালো লাগছে।
লেক প্রাঙ্গণে হরেক রকম পসরার দোকান সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। দোকানগুলোতে কেই বাঁশি, কেউ বাশের তৈরি দ্রব্য, কেউ চটপটি-ফুচকা, কেউ মেয়েদের চুড়ি-গয়না, কেউ মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যসহ বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করছেন। বিশেষ এ দিনে বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কড়াইল থেকে আগত বাঁশি বিক্রেতা কালাম।
এদিকে রবীন্দ্র সরোবরে দেখা যায় পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগতদের সবাইকেই চেক করে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর থেকেই সবাইকে রবীন্দ্র সরোবর এলাকা ছাড়তে মাইকে বার বার ঘোষণা দেয়া হয়।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। জরা জীর্নতাকে পেছনে ফেলে, নব আনন্দে পহেলা বৈশাখের মতোই বাঙালির প্রতিটি দিন হোক আনন্দের এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
আরকেআর/এসএ