নববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমি মাঠে। শিল্পীরা একের পর এক গান পরিবেশন করে মন কাড়ছেন দর্শকদের।
নববর্ষ উপলক্ষে শিল্পকলা মাঠ সাজানো হয়েছে বাঁশ ও মাটির তৈরি নানা তৈজসপত্র দিয়ে। মাঠের নানা প্রান্তে বাঁশের সঙ্গে টাঙানো হয়েছে হারিকেন। সঙ্গে রাখা হয়েছে জেলের মাছ ধরার পলো, কুমারের পোড়া মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিল। নতুন প্রজন্ম এসব পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে দেখা যায়।
রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অনুষ্ঠিত বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকিসহ নগরবাসী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নড়াইল থেকে আগত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ লাঠি কেলা ক্লাব পরিবেশন করেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা।
আনিসুর রহমানের পরিচালনায় লাঠি খেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় জাতীয় পাখি দোয়েলের নাচ, জেলের মাছ ধরার দৃশ্য, গৃহিণীর রান্না করার দৃশ্য। ভ্যাপসা গরম আর রোদ উপেক্ষা করে নগরবাসী এসব উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রোকেটিক ট্রেনিং সেন্টারের পরিবেশনায় দেখানো হয় সার্কাস। বিভিন্ন ধরনের কৌশল রপ্তের মাধ্যমে তাদের পরিবেশনা বেশ উপভোগ্য ছিলো। নগরের নাগরিকদের বিনোদন দেয় নারায়ণগঞ্জ হাডুডু ক্লাবের পরিচালনায় হাডুডু খেলা। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন তো ছিলোই। তাদের গান পরিবেশন মন কাড়ে দর্শকদের। তবে নতুন প্রজন্মের কাছে আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বাঁশ ও মাটির তৈরি নানা তৈজসপত্র, জেলের মাছ ধরার পলো আর হারিকেন।
সাজিদ নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু তার বাবা আলী আব্বাসকে প্রশ্ন করে জানতে চাইছেন বাবা এগুলোকে নাম কি?
সন্তানের প্রশ্নের জবাবে বাবা বলছেন, এটা মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিল, কুমার এগুলো তৈরি করে। এর আগে এই মাটির পাতিল দিয়ে রান্না করা হতো। পলো দিয়ে মাছ ধরা ও হারিকেন দিয়ে আলো জ্বালানো হয়। এর আগে বিদ্যুৎ ছিলো না আমরা হারিকেনের সাহায্যে পড়া-লেখা করেছি। এভাবে অনেকেই ঐতিহ্যবাহী জিনিস সম্পর্কে জানতে পারছেন, অনেকে জানতে সাহায্য করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
ইএআর/এএটি