ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

সাজেকের পর্যটক কটেজগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৯, মার্চ ৬, ২০১৯
সাজেকের পর্যটক কটেজগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ সাজেকের কটেজ (ফাইল ফটো)

রাঙামাটি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের কটেজগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময়ে কটেজেগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

যেসব কটেজে পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো- ১৭ জানুয়ারি মনটানা রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও রয়েল সাজেক, ২৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় রিসোর্ট ও হিমালয় রিসোর্ট, ২ মার্চ গরবা রিসোর্ট, মেঘ কাব্য রিসোর্ট, সাজেক মেঘ বিলাস ও আল মদিনা রেস্টুরেন্ট, ৩ মার্চ বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট ও  মহসিন রেস্টুরেন্ট এবং মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মেঘ মাচাং রিসোর্ট, মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট, মৈত্রী  রিসোর্ট, ড্রীম সাজেক রিসোর্ট, দার্জিলিং রিসোর্ট ও এভারেস্ট রিসোর্টসহ মোট ১৭টি রিসোর্ট।

এ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কটেজগুলোতে চান্দের গাড়িতে (জিপ গাড়ি) করে পানি সরবরাহ করা হয়।

তাই পানি সরবরাহ করার কারণে একদিকে যেমন পানির ব্যবসা জমে উঠেছে তেমনি গাড়িগুলো পানি সরবরাহ করে আয় করছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সে কারণে পানি কেন্দ্রীক একটি ব্যবসা জমে উঠেছে।

কিন্তু পানি  সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় পর্যটকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ফলে বেশিভাগ কটেজ বন্ধ হওয়ার পথে। এমন সমস্যায় বিপাকে পড়ে রিসোর্ট মালিকরা পর্যটকদের অগ্রিম বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন।  


স্থানীয় বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের সাজেকের এরিয়া কমান্ডার প্রমিজ চাকমা ওরফে প্রমেস চাকমার নির্দেশেই কটেজগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পানি সরবরাহ বন্ধের সত্যতা স্বীকার করেছেন কটেজ মালিকরা।  তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য ছিলো একটাই, কটেজগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে পর্যটকদের আসার পথ রুদ্ধ করা।  

এ বিষয়ে সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ ত্রিপুরা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই রিসোর্টগুলোতে সন্তু গ্রুপের জেএসএস’র স্থানীয় নেতার নির্দেশে কটেজগুলোতে পানি সরাবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান রিসোর্ট সমিতির এ নেতা।

জেএসএস বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বড় ঋষি চাকমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছি।  

সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮শ’ ফুট উচ্চতায় গড়ে ওঠা এ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পানি সরবরাহ করা হয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঝরণা এবং ছড়া থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।