পরে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই উপস্থিত হয়ে গতিরোধক নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন।
শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের গাড়ীদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গাড়ীদহ কাঞ্চনপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ও গাড়ীদহ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহাগ ওই এলাকা দিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছিলো। এ সময় ঢাকাগামী একতা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ওই স্কুলছাত্রকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা মহাসড়কে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে গাড়ীদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতিরোধক নির্মাণের দাবি জানান।
খবর পেয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে ওসি রফিকুল ইসলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাসচাপায় স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পর বিক্ষুদ্ধ জনতা মহাসড়কের ওই স্থানে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে ২০ মিনিটের মত অবরোধ করে রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এমবিএইচ/এসআরএস