বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলা, যাতায়াতের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখা ও বিকেল ৫টায় ক্যাম্প ত্যাগ করবে এমন মর্মে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাদের বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, আটকদের মধ্যে ১২ জনের পাসপোর্ট এবং ভিসা সঙ্গে ছিল না এবং বাকি ৪ জনের বিজনেস ও টুরিস্ট ভিসা থাকলেও আরআরআরসি‘র অনুমতি ব্যতীত তারা টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করেন। যা আইনত অবৈধ। এ কারণে তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৬ বিদেশি নাগরিক আটক
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশি নাগরিকরা এদেশের আইনের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাশীল থাকেন সে কারণেই মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান।
তিনি আরো বলেন, র্যাবের হাতে আটক সেই ১৬ বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এবং তিনটি লিখিত শর্তে মুচলেকা নিয়ে মধ্যরাতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- জার্মানের নাগরিক ও নাফ রেডিও কমিউনিটি ৯৯.২ এফএম’র মার্শাল ও অ্যান্ড্রুস লাঙ্গ, আমেরিকার নাগরিক ও বেসরকারি সেবা সংস্থা এসএএলটিএফএলআই’র এনটওনিটি মেরি ও আন্ড্রে লুনিসিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও হেল্প দ্যা নিডি’র স্যামুয়েল কে হাসলাম, মেডিলাইন বেলী হাসলাম এবং টাটুম এডলি নেলসন, ট্রাসি মিচেল হাসলাম, মালাইসা ডান নেলসন, জন স্টিভেন ইভলিন এবং যুক্তরাজ্যের নিজার নাগিব দাহান, মার্কাস জেমস ভ্যালান্সি, মাজাফার, খালিদ হোসাইন, ইফতেখার মাসুদ এবং ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের লিন্ডসে গ্রিম সু।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
টিটি/টিএ