কিন্তু চিকিৎসার বদলে চিকিৎসকদের দায়ের করা মামলায় তার ভাগ্যে জুটেছে কারাগারের বন্দী জীবন। তার বিরুদ্ধে ডাক্তারকে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হাসান মাহমুদের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম গুন্দু বলেন, বিষয়টি অমানবিক। মামলার বাদি নিজেই দাবি করেছেন হাসান মাহমুদ আঘাত প্রাপ্ত। ডান হাতে ভেঙ্গে গেছে ও থুতনির নিচে ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে। এমন একজন রোগী সুস্থ মানুষের গায়ে হাত তুলতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।
চিকিৎসা সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কে বা কারা হামলা করেছে এর জন্য রোগীকে কারাগারে যেতে হবে এটা সভ্য দেশে কল্পনারও অতীত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আহত হাসান মাহমুদকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। তাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসা সেবা নিয়ে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে রোগী হাসানসহ স্বজনরা চিকিৎসকদের মারধর করেন। তাদের প্রহারে ইন্টার্ন চিকিৎসক শাফায়েত হোসেন আহত হন।
ডাক্তাদের দেয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে হাসান মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে থানায় এনে কোর্টে চালান করা হয়।
স্বজনদের দাবি, আহত হাসানকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অবহেলা ও তাচ্ছিল্যমূলক আচরণ তাদের ক্ষুদ্ধ করে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলেই বাকবিতন্ডা হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের মারতে ধরলে প্রতিহত করতে গিয়ে থাপ্পর খেয়েছেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহীন আবদুর রহমান বলেন, ইন্টার্নরা শিক্ষানবীশ হিসেবে ছাত্রই ধরা যায়। তাই তাদের মাঝে কিছুটা ছাত্রসুলভ আচরণ থাকে। ১৭ তারিখ সংগঠিত ঘটনার পর তাদের দেয়া সাতদফা দাবি পূরণের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনও সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
হাসানকে হামলাকারি হিসেবে দেখানো হয়নি বলেও দাবী করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘন্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
টিটি/এসআই