বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮ টার পর থেকে তারা হল ত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যার পর হল প্রাধ্যক্ষ কোটা আন্দোলনে জড়িতদের ডেকে হল ছেড়ে দিতে বলেন।
চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যারা কোটা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তাদের ফেসবুকে কোন কিছু লিখলে ও হলের কোন কিছু ভিডিও করলে বহিষ্কার করার কথা বলেছেন প্রাধ্যক্ষ ম্যাম।
রাত ১০টার গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন অভিভাবক তাদের মেয়েদের নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় অনেককে কান্না করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রেজওয়ানাকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাটা শুনেছি। প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছিলেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি না থাকায় প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা ১২ এপ্রিল আন্দোলন স্থগিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এসকেবি/এসআই