বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. মাছুমুর রহমান রাজীবের পরিবারের হাতে অনুদানের ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এরমধ্যে সহায়তার খাত থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং আলাদাভাবে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার সহায়তা করা হয়।
অর্থ হস্তান্তরের আগে রাজীবের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ছোটভাই মেহেদী হাসান বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী, জেলা জাসদের সভাপতি স.ম দেলোয়ার হোসেন দিলিপ, নিহত রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম, বড় খালা জাহানারা বেগমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. মাছুমুর রহমান বলেন, শুরু থেকেই রাজীবের পাশে সরকার ছিলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজীবের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে রাজীবের পরিবারকে অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজীবের দুইভাইয়ের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষক ও বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। সরকার তাদের পাশে আছে। আশাকরি এতিম দুই ভাইয়ের কোনো সমস্যা হবে না, ওড়া পড়াশোনা করে ভালো মানুষ হবে।
সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের নিহত কলেজছাত্রের দুই ভাইয়ের পাশে এসে দাড়ানোর আহ্বান জানান ডিসি মাছুমুর রহমান।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের পীড়াপীড়িতে দুই বাসের চাপায় পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিলো। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজীব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এমএস/জিপি