আইনী প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের নির্দেশে পরিবারের হাতে ইমামকে তুলে দেওয়া হয়।
বাড়ি ফেরায় পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত হলেও তার নিরাপত্তা নিয়ে অজানা শঙ্কা কাটছে না তাদের।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, তারা বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছেন। এর আগে গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া গ্রামের টিপু মোল্লার আট বছরের ছেলে ইমাম হাসানের মা মারা যাবার পর তাকে দেখাশোনা করতেন দাদী নাসিমা বেগম।
তিনিই উরফি বাইশপল্লী কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলেন ইমামকে। কিন্তু দরিদ্র নাসিমা বেগম মাসিক খরচ হিসেবে দু’হাজার করে দিতে না পরায় মাদ্রাসা থেকে তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছরের ১০ জুলাই আবারো মাদ্রাসায় রেখে আসা হয় ইমামকে। এরপরই সে অপহরণের শিকার হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে উল্টো হুমকিতে পড়েন তার পরিবার।
এদিকে, প্রায় এক মাসের মাথায় রাজশাহী নগরীর রাজ্জাকের মোড় এলাকায় অভিভাবকহীন অবস্থায় ইমামকে পেয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তার ঠাঁই হয় সরকারি শিশু সদনে। পরে আদালতের নির্দেশে তার পরিবারের ঠিকানা খুঁজে বের করা হয়।
অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম বলেন, ইমাম হাসানকে ফিরে পেলেও অপহরণকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। এ বিষয়ে এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/