ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শিলাবৃষ্টিতে ম্লান কসবার কৃষকদের স্বপ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১১, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
শিলাবৃষ্টিতে ম্লান কসবার কৃষকদের স্বপ্ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কাহার মিয়া। প্রবীণ এ কৃষকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের বর্নী গ্রামে। নিজের জমিতে চাষাবাদ করেন; আর তা দিয়েই চলে সংসার খরচ।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি হয়ে যাওয়া শিলা বৃষ্টিতে তার সে আশার গুড়ে বালি।

শিলার আঘাতে ধান গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে এক তৃতীয়াংশ ধান। ফলে এখন আর লাভবান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। উল্টো জমিতে পড়ে থাকা ধান পরিষ্কার করতেই গচ্ছা যাচ্ছে বেশ কিছু টাকা।

একই অবস্থা কসবা উপজেলার পৌরসভা, গোপিনাথপুর, বাদৈর ও খাড়েরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলের শিলাবৃষ্টিতে মোট ৩৪২০ হেক্টর বোরা আবাদ, ২০ হেক্টর সবজি ও দুই হেক্টর জমির তরমুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসল ঘরে তোলার মূহুর্তের এ ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকথা হয় বর্নী গ্রামের অপর কৃষক শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অহনের (বর্তমান) পরিস্থিতিতে আমডার (আমাদের) বাঁচনের কোনো পথ নাই। বাচ্চা কাচ্চা লইয়া চলাম এ পয়সাডাও নাই, যে পয়সাডি খরচ করছি তা তুলতে আরো কয়েক বছর লাগবো। সরকার আমডারে কিছু সাহায্য করলে জানডা বাঁচবো।

আরেক চাষি আব্দুল লতিফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আর এক সপ্তাহ পরই আমরা জমির ধান ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু শিলাবৃষ্টি সব শেষ করে দিছে। অহন সরকার পাশে না দাঁড়াইলে আমাডার বাঁচার কোনো উপায় নাই।

এ বিষয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু নাসেরর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এরই মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, কৃষকরা সরকারি সাহায্য পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ