ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

৭ জেএমবি সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫২, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
৭ জেএমবি সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ গোদাগাড়ীতে পুলিশের হাতে আটক জেএমবির নারী সদস্যরা

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে আটক ছয় নারীসহ সাত জেএমবি সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়েছে পুলিশ। এজন্য আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। 

তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রোববার (২২ এপ্রিল) দিন ধার্য করা করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আদালতে হাজিরের আগে আটক সাতজনসহ আরও দু’জনকে পলাতক দেখিয়ে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সাতজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ফলে রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের হাতে আটক জেএমবির ছয় নারী সদস্যের পাঁচজনই কলেজছাত্রী। অন্য দু’জন স্বামী-স্ত্রী। এরা সবাই মিলে বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি হামলার ছক করতো। আগে আটক দু’জনের তথ্যে অনুযায়ী বুধবার ভোরে উপজেলার ছয়ঘাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বাকিদের আটক করে।  

তিনি জানান, বুধবার ভোরে গোদাগাড়ী উপজেলার ছয়ঘাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোট সাত জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়। এরমধ্যে একজন হলেন হাসান আলী (৫০)। তিনি গত বছরের ১১ মে গোদাগাড়ীর বেনীপুরে জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আটক অপর ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন হাসানের স্ত্রী শেফালি বেগম (৪৮), তার দুই মেয়ে মারিয়া খাতুন কনা (২২) ও হানুফা খাতুন (২১), হাসানের ভাই রেজাউল করিমের তিন মেয়ে ফারজানা আক্তার সুইটি (২২), নাদিয়া সুলতানা তিশা (২১) ও রোজিনা সুলতানা কলিকে (২০) আটক করা হয়। আটক হাসান আলীর দুই মেয়ে এবং তার ভাই রেজাউল করিমের তিন মেয়ে সবাই বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।

আটকদের মধ্যে মারিয়া খাতুন কনা রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, হানুফা খাতুন রাজশাহী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, ফারজানা আক্তার সুইটি প্রেমতীল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, নাদিয়া সুলতানা তিশা রাজশাহী সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং রোজিনা সুলতানা কলি প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তারা বাবা-চাচা মিলে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলার ছক করতো। বিভিন্ন স্থানে মিলিত হয়ে তারা গোপন বৈঠক করতো, বিতরণ করত লিফলেট। তাদের সঙ্গে আরও এক জঙ্গি জড়িত রয়েছে। এরই মধ্যে তার পরিচয়ও শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটক করা সম্ভব না হলেও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যে কোনো সময় সেও পুলিশের জালে ধরা পড়বে বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ।

এছাড়া আটকদের মধ্যে হাসান আলী ও শেফালী খাতুন বেনীপুরে জঙ্গি হামলার ঘটনার মামলার পলাতক আসামি (মামলা নং ২৫, তারিখ- ১৩/০৫/১৭)। বেনীপুরের আস্তানায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে তাদের নাম আসে। বেনীপুরের আস্তানায় আত্মসমর্পণ করা সুমাইয়া খাতুনের জবানবন্দিতে হাসান আলী ও শেফালী জেএমবির সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয়। পুলিশ তাদের খুঁজছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ