ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

দুদকের মামলার আসামিরা মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পারে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:০২, এপ্রিল ১২, ২০১৮
দুদকের মামলার আসামিরা মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পারে না কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ সালের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় কথা বলছেন ইকবাল মাহমুদ

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামিরা মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ালে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই এটা হতে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড’র সহায়তায় কমিশনের পাঁচবছর মেয়াদী (২০১৭-২০২১) কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ সালের কার্যক্রমের ওপর অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় যে বা যারা আসামি হবেন তাদের হয় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে নতুবা গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। তারা যদি মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ান তাহলে দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান প্রভাব জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।  

‘দুদক বিগত দুই বছরে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। অনেক আসামি এখনও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ না করে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ’

ক্ষোভ প্রকাশ করে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কীভাবে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায়?  দুদকের প্রতিটি মামলার প্রতিটি আসামিকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।

কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত প্রক্রিয়ায় সময়সীমা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মকর্তার প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ কেউ সময়সীমা লঙ্ঘন করেন। কমিশন উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো অনুসন্ধান বা তদন্তে সময়সীমা লঙ্ঘন সহজভাবে নেবে না।

তিনি সুপারভাইজিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুপারভাইজিং টুলস আপনাদেরই বের করতে হবে। প্রত্যেকের প্রধান কার্য সম্পাদন সূচক নিরূপণ করে মূল্যায়ন করা হবে।  

তিনি জানান, বিগত দুই বছরে দুই হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তাকেই পাঁচ-সাতবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপরও অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগতমান পুরোপুরি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

‘দুর্নীতির ঘটনা কোথায়, কখন, কীভাবে বা কাদের সহযোগিতায় কে বা কারা ঘটিয়েছেন তার সুস্পষ্ট প্রমণাদি তদন্ত প্রতিবেদনে থাকতে হবে। ১৬১ ধারায় অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রশ্ন হতে হবে প্রাসঙ্গিক। ’

এ প্রসঙ্গে তিনি জিআইজেড কনসালট্যান্ট জেরিওসবর্নের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের এ ধরনের সংস্থা এসব ক্ষেত্রে যে সব টুলস-টেকনিক ব্যবহার করে, সেগুলো আমাদের কর্মকর্তাদের অনুশীলনের প্রক্রিয়াগুলো যেন বুঝতে এবং প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে আপনারা ব্যবস্থা নিন। ’

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. জয়নুল বারী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ড. মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
আরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।