এছাড়াও, এ মামলার আসামি একই গ্রামের ইলিয়াস ও আজিজুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভারপ্রাপ্ত পিপি সাইফুল আলম প্রদীপ বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রাতে ইসমাইল ও তার স্ত্রী জমিলা খাতুন নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন ঘরের দরজায় শব্দ শুনে জমিলা খাতুন দরজা খোলেন। এসময় তিনি মুখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকজনকে দেখতে পান। এসময় তাদের মধ্যে একজন ঘরে ঢুকে ইসমাইলকে কুপিয়ে জখম করেন। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হাতহাতির এক পর্যায়ে মুখের কালো কাপড় খুলে যাওয়ায় আলীমকে চিনে ফেলেন জমিলা। তার চিৎকারে আলীমসহ তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইলকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দুইদিন পর জামিলা আলিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১০ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী নূর ই এলাহি খান ও মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এনটি